মুহাম্মদ মাসুদ রান, হালুয়াঘাটঃ- বছরের শুরু থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত হালুয়াঘাটের পাহাড়ি স্পটগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখর।বিশেষ করে শুক্রবার হলেই সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দে মাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভ্রমণ পিপাসুরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গারো পাহাড়ের কড়াইতলী, গোবরাকুড়া কয়লা ডিপো, ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি রাংরাপাড়া এবং নতুন পর্যটন স্পষ্ট গাবরাখালীতে ভ্রমণ পিপাসুরা বন্ধু-বান্ধব এমন কি পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পিকনিক স্পটের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ সেলফি তুলছেন। কেউবা প্রিয়জনের ছবি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দী করছেন। শিশুদের পদচারণায়ও চোখে পড়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের স্পষ্ট গুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পৌর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়। সেই পাহাড় ঘেরা গাজিরভিটা ইউনিয়নের গাবরাখালী গ্রামে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে “গাবরাখালী গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র”। অপার সম্ভাবনাময় এ পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা।
ময়মনসিংহ থেকে আসা দর্শনার্থী শাহরিয়ার বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন ঘরে বন্দী থাকার পর আজ শুক্রবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে খুব আনন্দ লাগছে।
আশা করা যায়, ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় এ সেক্টরটি থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করে এর উন্নতিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমনটি মনে করছেন অনেকেই।